ঢাকা,মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪

রাষ্ট্রীয় মর্যাদার তালিকায় সম্পাদকদের অন্তর্ভুক্ত কেন নয় : হাইকোর্ট

Highcorut1জাতীয় পত্রিকার সম্পাদকদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদার ক্রম (ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্ট) তালিকায় অর্ন্তভুক্তির কেন নির্দেশ দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট। একইসঙ্গে তাদেরকে ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্সে অন্তর্ভুক্ত না করা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, জনপ্রশাসন সচিব, আইন সচিব ও তথ্য মন্ত্রনালয়ের সচিবকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। 

এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাসের ডিভিশন বেঞ্চ সোমবার এই আদেশ দেন। আদালতে রিটকারীর পক্ষে ব্যারিস্টার রাগিব রউফ চৌধুরী শুনানি করেন। 

রবিবার ড. কাজী ইরতিজা হাসান ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্টে সম্পাদকদের অন্তর্ভুক্তির নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন। তিনি একটি পত্রিকার সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। রিটে বলা হয়, সাংবাদিকদের ভূমিকা মূল্যায়নে সকল জাতীয় দৈনিক পত্রিকার সম্পাদকের বিশেষ মর্যাদা রয়েছে। কিন্তু তারপরও ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্সে তাদের কোন অবস্থান নেই। রাষ্ট্রীয় সব গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানে তাদের আমন্ত্রণ সরকারের দয়ার ওপর নির্ভর করে। কিন্তু পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত, পকিস্তান, অস্ট্রেলিয়া এবং আমিরেকাতে সরকারি কর্মকর্তা ছাড়াও বিভিন্ন পেশাজীবীদেরকে ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্সে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। কিন্তু আমাদের দেশে সেটা করা হয়নি। রিটে আরও বলা হয়, ২০১৫ সালের ১১ জানুয়ারি সুপ্রিমকোর্টের এক রায়ে যারা দেশের জন্য যুদ্ধ করেছেন ওইসব মুক্তিযোদ্ধাদের ছাড়াও বিভিন্ন পেশাজীবীদের ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্সে অন্তর্ভুক্ত করার প্রক্রিয়া গ্রহণ করার জন্য বলা হয়েছে। কিন্তু আজও সেই প্রক্রিয়া গ্রহণ করা হয়নি। শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুল জারি করে।

পাঠকের মতামত: